সংবাদ শিরোনাম :
গজারিয়ায় সরকারি নলকূপ বিক্রি হচ্ছে লক্ষ টাকায়

গজারিয়ায় সরকারি নলকূপ বিক্রি হচ্ছে লক্ষ টাকায়

ওসমান গনি
স্টাফ রিপোর্টার

মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা
১০ হাজার টাকার সরকারি নলকূপ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে
ছাত্র পরিচয়কারী মারুফ ওরফে (রায়হান) এর বিরুদ্ধে।
নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নে মাথাভাঙ্গা গ্রাম সহ একাধিক গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নলকূপ বসানোর কথা বলে আগে থেকেই জামানতের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছে রমজান বেপারীর ছেলে ছাত্র পরিচয়কারী মারুফ ওরফে (রায়হান)।
আর ভুক্তভোগীরা বলছে টাকা পয়সা সব দেওয়া হলেও এখনো পাচ্ছিনা নলকূপ।

গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাহকের৷ সাথে কথা বলেন গণমাধ্যম কর্মীরা। এর মধ্যে ভুক্তভোগী মাথাভাঙ্গা গ্রামের হাসন আলীর ছেলে মো: জজ মিয়া ও তার স্ত্রী বলেন গত ২০ থেকে ২২ দিন পূর্বে রমজান আলীর ছেলে মারুফ ওরফে (রায়হান) কে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় শুধু তাই নয় সে আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নলকূপ স্থাপন করবে বলে গত ২৯ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার বাকি ২৫ হাজার টাকা সহ মোট ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় তাকে। তাদের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা কবে নাগাদ নলকূপ স্থাপন করবে এ-বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা বলেন আগামী দু এক সপ্তাহের মধ্যে নলকূপের মালামাল আপনাদের বাসায় পৌঁছে যাবে বলে এমনটি জানানো হয়।

এই দালাল চক্র থেকে বাদ যায়নি সাবেক ইউপি সদস্যের পরিবার। সাবেক ইউপি সদস্য মেয়েদের ছেলে আজাহারুলের স্ত্রী বলেন স্যার আমাদের টিউবওয়েল কবে দিবেন। স্যার টিওবল বসাবো বলে বাড়ির ওয়াল ভেঙ্গে জায়গা ক্লিয়ার করে রেখেছি রায়হানের কথায়। টাকা পয়সা সব দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত টিউবয়েল পাইনি।
ইউপি সদস্যর ছেলের বউ আজহারুলের স্ত্রীর কাছে টিউবলের বিনিময়ে টাকা দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি দুই দিনে ২৫ হাজার করে ৫০০০০ টাকা রায়হানকে দিয়েছি।

শুধু তাই নয় বিগত সময় থেকে আদবি পর্যন্ত স্থানীয় রাজনৈতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের নাম পরিচয় ভাঙ্গিয়ে অত্র ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রাম সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ টি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দালালচক্রের অন্যতম সদস্য এ-ই ছাত্র পরিচয়কারী মারুফ ওরফে (রায়হান)।

টিউবয়েল দিবে বলে নিম্নলিখিত গ্রাহকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নেয় এই চক্রটি।
এর মধ্যে সাত্তার মিয়ার ছেলে পারভেজ, ইসলাম মিয়ার ছেলে লিয়াকত, হাসমত ব্যাপারীর ছেলে ফারুক, আমির হোসেন বেপারীর ছেলে আবুল কালাম, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে শফিক,কবির, রেজাউল, হাবিবুর রহমান ও ধন মিয়ার য়ার ছেলে নূরে আলম এর কাছ থেকে এই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় মারুফ ও ওরফে (রায়হান)।

প্রতারক মারুফ ওরফে (রায়হান) এর সাথে টিউবলের বিনিময়ের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি ছাত্র মানুষ আর বর্তমানে ছাত্রদের কি প্রভাব সেটা তো আপনারা জানেনই। আপনারা নিউজ করেন আর জাই করেন করেন আমার কিছু করতে পারেন না।

ইমামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু বলেন, বিগত সময়ও এই ছেলেটির বিষয়ে আমি বিভিন্ন অভিযোগ শুনেছি। সরকারি টিউবওয়েল দেওয়ার কোন এক্তিয়ার নেই এই ছেলেটির। তিনি আরো বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার বলেন, এ ধরনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ার নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী